আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পছন্দ করি । আমরা একটি উন্নত নৈতিক মূল্যবোধ ভিত্তিক জাতি গড়তে চাই। সমাজকে পাপ পঙ্কিলতা ও কলঙ্ক মুক্ত দেখতে চাই। কিন্তু কীভাবে? কীভাবে একটি ঘুণেধরা সমাজ যা আপাদমস্তক ডুবে আছে অপসংস্কৃতির বেড়াজালে, যেখানে মানবতা নেই, মূল্যবোধ নেই, নেই স্রষ্টার সাথে সৃষ্টি ও প্রকৃতির সাথে মানুষের কোন নৈতিক বন্ধন। না, আমি কোন হতাশার কথা বলছি না বরং আমাদের বোধশক্তিটুকু জাগ্রত করার মধ্য দিয়েই একটি সুন্দর জাতি, সমাজ, দেশ, সর্বোপরি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। প্রয়োজন ত্যাগের মন-মানসিকতাসম্পন্ন একঝাঁক তরুণ, উদ্যমী ও সাহসী সন্তান। যারা ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে সমাজকে একটি তাক্বওয়াভিত্তিক জনগোষ্ঠী উপহার দেবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে প্রচলিত কোনো শিক্ষাব্যবস্থাই সে ধরনের পূর্ণাঙ্গ মানুষ বা সুনাগরিক তৈরীর সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছে না। অথচ পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নতুন শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যখন বিশ্বব্যাপী চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে বিজাতীয় নগ্ন সভ্যতার আগ্রাসী ছোবল, এমতাবস্থায় নিজেদের যথাযোগ্যরূপে গড়ে তুলতে না পারলে, নিজ অধিকার, মর্যাদা এবং ঈমান-আকীদা নিয়ে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারসহ জাগতিক বিদ্যায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিকতা ও চারিত্রিক উৎকর্ষতা অর্জন সময়ের অপরিহার্য দাবী। সেই দাবী পূরণে দেশ, জাতি ও ধর্মের কল্যাণে সার্বিক যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি গঠনের মত সার্বজনীন ও সমন্বিত কোন শিক্ষাকার্যক্রম আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। সেই শূণ্যতা পূরণের তীব্র অনুভূতিকে সামনে রেখে আল-হিকমানহ ইসলামী একাডেমি -এর কার্যক্রম শুরু করি। লক্ষ্য আমাদের বহুদূর! এ পথচলায় আপনাদের সহযোগিতা আমাদেরকে করবে আরো প্রতিজ্ঞ, সকল ক্ষেত্রে আরশের মালিক আল্লাহর প্রতি আমরা সমর্পিত।